শনিবার ● ১৭ মে ২০২৫ ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
×
Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)
ঢামেকে দালালদের দু'গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল , ২০২৫, ০৪:৫১:০০ পিএম
স্টাফ রিপোর্টার:
Desherdak_2025-04-24_680a185c98ea2.jpg

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) জরুরি বিভাগে বেসরকারি আইসিইউতে রোগী ভাগিয়ে নেয়া এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দালালদের শাহাদাত হোসাইন (নাঈম) গ্রুপ ও আব্দুল্লাহ আল মাহিম গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুই গ্রুপের বেশ কয়েকজন আহত হয়।

জানা গেছে, শাহাদাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এবং শ্যামলীর সিটি কেয়ার হাসপাতালের আব্দুল্লাহ আল মাহিম আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন।

রাতে আধিপত্য বিস্তার এবং বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে রোগী ভাগিয়ে নেয়া-কে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। শাহাদাত ঢাকা মেডিকেলের ২১১ ও ২১২ এবং জরুরী বিভাগ থেকে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে শ্যামলীর রূপায়ন টাওয়ারে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালে রোগী দেয়। আব্দুল্লাহ শ্যামলী সিটি কেয়ার হাসপাতালের মালিক এবং সে ঢাকা মেডিকেল থেকে রোগী ভাগিয়ে নেওয়ার জন্য সিন্ডিকেট তৈরি করেছে।

আরও জানা যায়, ৫ আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর শাহাদাত হোসেন নাঈম ঢাকা মেডিকেল থেকে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে রোগী ভাগিয়ে নেয়ার জন্য নিজস্ব একটি গ্রুপ তৈরি করেন।

তাদের কথার বাইরে গেলে বিভিন্ন সরকারি স্টাফদের মারপিট এবং হুমকি ধামকি দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। শাহাদাতের গ্রুপে রয়েছে নোমান,সবুজ, আবির, জাহিদ,নাঈম ও রাজ্জাক ছাড়াও আরও অনেকে। সিটি কেয়ার হাসপাতালের আব্দুল্লাহ আল মাহিমের গ্রুপের রয়েছে রুবেল,লিমন,শামীম,রাকিব,নাহিদ, সিরাজ ও রাফি। প্রায়ই বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভাগিয়ে নেয়াকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক হাসপাতালের কয়েকজন কর্মচারী জানান, শাহাদাত গ্রুপ ও আব্দুল্লাহ গ্রুপ রাতে ২১১ ও ২১২ এবং জরুরি বিভাগে মহড়া দেয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। মারামারিতে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। তবে ঢাকা মেডিকেলে তারা কেউ চিকিৎসা নেয়নি।

তবে এ বিষয়ে হাসপাতালের প্রশাসনের কোন ভূমিকা দেখা যায় না। হাসপাতালে চলতি বছরের মার্চ মাসে যৌথ বাহিনীর অভিযান হলেও রাঘববোয়ালরা ধরা পড়েনি বলে অভিযোগ রয়েছে। ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে শাহাদাতকে মুঠোফোনে কল দেয়া হলে তিনি জানান, আমি কলেজ গেটে আছি আপনি এখানে আসেন।

সরাসরি কথা বলি। মারামারির কোন ঘটনা হয়েছে কিনা সেই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এরকম কোন ঘটনা ঘটেনি।

এদিকে এই ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল্লাহ আল মাহিমের ফোনে বেশ কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এসব মারামারির বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, হাসপাতালের জরুরি বিভাগ এবং নতুন বিল্ডিং এর সামনের দিকে একটি মারামারির ঘটনা ঘটেছে। তবে আমরা যেতে যেতে উভয় পক্ষই হাসপাতাল থেকে চলে যায়। দালালদের দুই গ্রুপের পরিচয় জানেন না বলেও জানান তিনি।

আরও খবর

Ad for sale 225 x 270 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
🔝