শুক্রবার ● ২৩ মে ২০২৫ ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
×
Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)
কালবৈশাখী আর বাহারি ফুলে স্পন্দিত কুবির প্রতিটি প্রাণ
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল , ২০২৫, ১১:১৯:০০ পিএম
অমি দেব, কুবি প্রতিনিধি:
Desherdak_2025-04-22_6807d02a0ecd1.jpg

বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী এখন বৈশাখ মাস।বাঙালিরা কিছুদিনই হলো নতুন বছরকে বরণ করে নিলো। বৈশাখের তীব্র তাপদাহের আগে পরিবেশকে সতেজ করতে এলো কালবৈশাখীর ঝড়।

এই কালবৈশাখীতে শীতল হাওয়া, মেঘাচ্ছন্ন আকাশ, বৃষ্টি ভেজা পথ আর বাহারি ফুলে সাজানো গাছ ও হাওয়াতে বৈতে থাকা ফুলের সুবাস কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে যেন এক অপরূপ সৌন্দর্য্যের লীলাভূমিতে পরিণত করেছে। এমনিতেই ছয় ঋতুতে ভিন্ন ভিন্ন রুপে দেখা যায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে৷

ভিন্ন ঋতুর স্বাদ, গন্ধে মাতোয়ারা থাকে শিক্ষার্থীসহ সকল দর্শনার্থীরা। এ বৈশাখের শুরুর কালবৈশাখী সদ্যপালিত বৈশাখী উৎসব উদযাপন করা শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন স্পন্দন নিয়ে আসে। কেউ বৃষ্টিতে ভিজে বৃষ্টি বিলাস করছে, কেউ-বা রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া রং-বেরঙের ফুল তুলে নিয়ে কানে গুঁজছেন।

একদল আছে তারা রং বেরঙের মুহুর্তগুলোকে বন্দী করছেন তাদের ক্যামেরায়। আর যাদের প্রিয় বন্ধু-বান্ধব বন্ধের পর এখনও ক্যাম্পাসে ফিরেনি, তারা এই শীতল স্নিগ্ধ সময়গুলো একা একা বৃষ্টি ভেজা পথে হেঁটে হেঁটে প্রকৃতিকে উপভোগ করেছে। এদিকে বসন্তে বাহারি রঙের ফুলে ছেয়ে গেছে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।

লাল টুকটুকে কৃষ্ণচূড়া, জাপানি ক্যাসিয়া, জারুল আর সোনালু ফুলের সাজে সেজেছে কুবি ক্যাম্পাস। ফুলে ফুলে সজ্জিত ক্যাম্পাস যেনো শিল্পীর রঙ তুলিতে আঁকা নয়ন জুড়ানো কোনো ছবি। আর প্রতিদিনিই ফুলে ফুলে সুশোভিত ক্যাম্পাস দেখতে আসছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।  বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর ও শহীদ মিনারে যাওয়ার পথ কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্যে যেন ঘুরতে আসা নানা পর্যটককে বরণ করে নিচ্ছে সমাদরে। এছাড়াও ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চ, বিভিন্ন অনুষদে যাওয়ার পথ যেন ছেয়ে গেছে কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্যে । 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা এক শিক্ষার্থী জীবন সমাদ্দার বলেন , আমি এই  বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি । চান্স পাওয়া না পাওয়া এটা ভাগ্যের বিষয় । তবে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সৌন্দর্য আমি দেখে যাচ্ছি তা আমার মনে গেঁথে থাকবে । আমি প্রথম এখানে এসে যা দেখেছি তা হল এই যে গোলচত্বর থেকে হল এ কিংবা শহিদ মিনারে যাওয়া পথ মনে হচ্ছে আমাকে যেন বরণ করার জন্য লাল গালিচা বিছিয়ে রেখেছে ।

চলে যাচ্ছি কিন্তু অনেক স্মৃতি নিয়ে যাচ্ছি ।  পরিবার নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঘুরতে আসা মো. ইমরান হোসেন বলেন, আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ও ঘুরেছি কিন্তু ছোটোর মধ্যে এতো সুন্দর ও গুছানো বিশ্ববিদ্যালয় আর দেখিনি ।

আমার বিশেষ করে সুন্দর লেগেছে শহিদ মিনারটা আর শহিদ মিনারে যাওয়ার পথটা। আর চারপাশের পরিবেশ খুব সুন্দর লেগেছে।ফুলে ফুলে সব ছেয়ে গেছে।”

আরও খবর

Ad for sale 225 x 270 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
🔝